Tuesday, 13 October 2015

ইতিহাস আর গল্প জেনে - তোমাকে করেছি ক্ষমা
সম্রাট আমি ভালোবাসার, তুমি আমার প্রিয়তমা ।

তুমি জানো তত যুদ্ধে যাইনি- যত ছিল ঐ মহড়া,
মন যতটা দৌড়ায় তত পারেনা ক্ষিপ্র ঘোড়া ;
তাই মনে-মনে বহু রাজ্যের প্রাসাদে দিয়েছি হানা,
কত রাজ্যেকে এইভাবে করে- কিছু কিছু হলো জানা ;
কত লোক এলো ঘটনা নিয়ে- আমার এই দরবারে,
কত মিছে কথা ঢাকলো কথার লুকানো অলঙ্কারে। 


মন দিয়ে শুনি সেইসব কথা- ঐ ভিন দেশি গল্প;
হস্তি, ঘোড়া, পদাতিক বেশি, কূটনীতি কার অল্প ;
কোন রাজ্য জয় করা যাবে- সাম্রাজ্য অভিসারে,
মনি-মুক্ত ছড়ানো থাকে, কোন রাজ্যের ধারে ;
কোন সেনাপতি হারেনাই রণে, তবুও নির্বাসনে ;
কোন রাজারকুমার ফিরে আসেনাই- রাজকুমারীর মনে।

সামন্ত প্রভুর অত্যাচারে- কাঁদে বনে পশু-পাখি;
জলসাঘরে মারলো রাজারে- সারাব- সুরায়- সাকী।

কার হেরেমে পাঁচ হাজার নারী, তিনশত তবু রানী;
হরবোলা থাকে বিচারের কাজে - হয় যদি শুনানি।

কোন প্রাসাদের অলিন্দে আছে- বাতাসের ষড়যন্ত্র,
কোন মহলের পুরোহিত দেয়- চিরযৌবন মন্ত্র,
কোন মন্দিরে বলি দিতে হয়- সবচেয়ে রুপসী নারী,
রাজা হলো কে সিংহ মেরে, যেছিল বন শিকারি ;
কত রাজা হলো পথের ভিখারি- ভিক্ষুক হলো রাজা;
সিংহাসনের লোভে কোন রাণী- শূলে দিলো শেহজাদা।

আরো বহু বহু গল্প আছে, জানে তা- মৃত্যু কুয়া;
যুদ্ধের মাঠে নিহত সেনার- শ্মশানের পোড়া ধুঁয়া।

সম্রাট আমি, আমাকেও তাই- যেতে হয় সব শুনে ;
ঢাল, তলোয়ার, বর্শা হাতে- তীর ভরে রেখে তূণে।

রাজপালঙ্কে শুয়ে কাটে রাত,- নির্ঘুম সম্রাট ;
যদি পারতাম, ছেড়েই দিতাম- মিথ্যা রাজ্যপাট,
ছোট কুঁড়ে ঘর, প্রিয়তমা মোর, কিইবা এমন ক্ষতি-
নাম না জানা হেরেমের যদি - হতো সে চন্দ্রাবতী ?

- অনি
সন্ধ্যা রাত- ৭ঃ৫৬

No comments:

Post a Comment