কিষাণ মাঠে মুরুলি বাজায়,
লেলুয়া বাতাস তরুর ছায়ায়,
গগন ঘনশ্যাম;
চরাচরে যত চিরল বাতাস,
ডাকছে পাতারা মধূকুপি ঘাস-
তোমার আমার নাম।
আমিতো সখি এসেছিনু আজ,
ফেলে রেখে সব সময়ের কাজ,
কই তুমি ? কই তুমি ?
মেঘমন্দ্র যে বাজে মুহুমুহু,
এক ধারাজলে এক হই দুহু -
মিলনের মৌসুমি ।
লেলুয়া বাতাস তরুর ছায়ায়,
গগন ঘনশ্যাম;
চরাচরে যত চিরল বাতাস,
ডাকছে পাতারা মধূকুপি ঘাস-
তোমার আমার নাম।
আমিতো সখি এসেছিনু আজ,
ফেলে রেখে সব সময়ের কাজ,
কই তুমি ? কই তুমি ?
মেঘমন্দ্র যে বাজে মুহুমুহু,
এক ধারাজলে এক হই দুহু -
মিলনের মৌসুমি ।
প্রান্তরের ঐ পাগলা হাওয়া,
ধানের ক্ষেতে দিচ্ছে ধাওয়া,
উড়ছে ধানের ঘ্রান;
আকাশ জোড়া মেঘেরদলে,
উর্মি নাচা পুকুর জলে-
উতল হাওয়ার গান।
তোমারওতো মনে তৃষ্ণা আছে,
জল খোঁজ করো মরুর গাছে,
আজ হোক ডুবাডুবি
ময়ূরের মতো পেখম তুলি,
আজ নাচ হবে সবকিছু ভুলি-
প্রকৃতির প্রান ছুবি।
পাখির ডানায় অস্থিরতা,
শাঙন ধারায় অধীরতা,
ধূলায় মাটির গন্ধ ;
টানটান এক উত্তেজনায়,
আরো ঘন মেঘ গগনে ঘনায়-
সময়ের দম বন্ধ।
মাতাল পবন নামবে শ্রাবন,
মেদুর আকাশ সঘন মগন,
মালহারে মূলতানে ,
গাইবো দুজনে মিলনের গান,
বক্ষে-বক্ষে পরানে পরান-
বাঁধিব সে সব গানে।
তুমি সখি মোর আসবে বলে,
মেঘ ঘনিয়েছে আরো দলে দলে,
আমিও প্রতীক্ষায়;
শিরশির হাওয়া শিরায় শিরায়,
অরন্য সবুজ সিক্ত পাতায়-
বাদলও ব্যাকুল বায়।
হাহাকার করে ঝোড়ো হাওয়া বয়,
বজ্র বাজে চিরিয়া হৃদয়,
আকাশের মন কাঁদে ,
প্রকৃতির এই আয়োজন থাকে,
চিরদিন শুধু আমাদের ডাকে-
মিলনের আহ্লাদে।
আমরাই কভু শুনিনা সে ডাক,
আকাশ যতই বর্ষা সাজাক,
আমরা শুকনা থাকি;
শরীরে শুকাই, মনেতে শুকাই,
সবাই সবার তৃষ্ণা লুকাই-
নিজেকেই দেই ফাঁকি।
এই আহ্বান তোমারতো জানা,
দুপায়ে বেঁধেছ টালবাহানা,
সামাজিক সংসারে ,
প্রকৃতি সেতো সামাজিক নয়,
প্রতি বর্ষায় একই ভাবে বয়-
তব আঙিনার ধারে ।
তাই এসো দোহে একসাথে ভিজি কোন এক বর্ষায়
তারপর যদি ভেসে যাই স্রোতে কিবা হায় আসে যায়।
- অনি।
২২/১০/১৫
রাত- ১ঃ৫৮
ধানের ক্ষেতে দিচ্ছে ধাওয়া,
উড়ছে ধানের ঘ্রান;
আকাশ জোড়া মেঘেরদলে,
উর্মি নাচা পুকুর জলে-
উতল হাওয়ার গান।
তোমারওতো মনে তৃষ্ণা আছে,
জল খোঁজ করো মরুর গাছে,
আজ হোক ডুবাডুবি
ময়ূরের মতো পেখম তুলি,
আজ নাচ হবে সবকিছু ভুলি-
প্রকৃতির প্রান ছুবি।
পাখির ডানায় অস্থিরতা,
শাঙন ধারায় অধীরতা,
ধূলায় মাটির গন্ধ ;
টানটান এক উত্তেজনায়,
আরো ঘন মেঘ গগনে ঘনায়-
সময়ের দম বন্ধ।
মাতাল পবন নামবে শ্রাবন,
মেদুর আকাশ সঘন মগন,
মালহারে মূলতানে ,
গাইবো দুজনে মিলনের গান,
বক্ষে-বক্ষে পরানে পরান-
বাঁধিব সে সব গানে।
তুমি সখি মোর আসবে বলে,
মেঘ ঘনিয়েছে আরো দলে দলে,
আমিও প্রতীক্ষায়;
শিরশির হাওয়া শিরায় শিরায়,
অরন্য সবুজ সিক্ত পাতায়-
বাদলও ব্যাকুল বায়।
হাহাকার করে ঝোড়ো হাওয়া বয়,
বজ্র বাজে চিরিয়া হৃদয়,
আকাশের মন কাঁদে ,
প্রকৃতির এই আয়োজন থাকে,
চিরদিন শুধু আমাদের ডাকে-
মিলনের আহ্লাদে।
আমরাই কভু শুনিনা সে ডাক,
আকাশ যতই বর্ষা সাজাক,
আমরা শুকনা থাকি;
শরীরে শুকাই, মনেতে শুকাই,
সবাই সবার তৃষ্ণা লুকাই-
নিজেকেই দেই ফাঁকি।
এই আহ্বান তোমারতো জানা,
দুপায়ে বেঁধেছ টালবাহানা,
সামাজিক সংসারে ,
প্রকৃতি সেতো সামাজিক নয়,
প্রতি বর্ষায় একই ভাবে বয়-
তব আঙিনার ধারে ।
তাই এসো দোহে একসাথে ভিজি কোন এক বর্ষায়
তারপর যদি ভেসে যাই স্রোতে কিবা হায় আসে যায়।
- অনি।
২২/১০/১৫
রাত- ১ঃ৫৮
No comments:
Post a Comment