আমার মনের মৃত্তিকায়
ফলেছিল ভালবাসার বৃক্ষ কত
পত্র ছিল ফুল ছিল
ফলও ধরেছিল কোনটার শাখায় শাখায়
সেই সব গাছে গাছে
ছোট ছোট পাখিদের বাসা আছে
ছানাগুলি লেগে আছে ডিমের কাছে কাছে
গিরগিটি হাটে -
পাশে তার কালো লাল পিপড়ের ঝাক,
পাতার নীচে সবুজ বিছেগুলো ঘুমায়
পাতার আড়ালে আড়ালে
ঘন মৌমাছির চাক,
অনেক চাড়া গাছ ছিল,
ছিল আগাছা বহু,
উচু নীচু গাছের পাশে পাশে
কেউ কেউ হয়েছিল মহীরুহ।
ছিল গাছের সবুজ পাতা
ঘাস সবুজ ছিল
বাতাস সবুজ
সবুজ ছিল আকাশে আকাশে
সবুজ বিধাতা।

আমার মনের মৃত্তিকা
ঢেকেছিল বহুদিন সেই সব অরন্যের ছায়া।
আর আজ সেই সে অরন্য
মৃত, শুষ্ক, জীর্ন
এই কবিতার মতো ম্লান
এই উপমার মতো বিবর্ন।
পাতা নেই ফুল নেই
বাসা ফেলে উড়ে গেছে পাখি
সব শাখাতেই।
যা ফলে ওঠে নিজে
নিজের আনন্দে
নিজের স্বভাবে
সবার মাটিতেই নিজের একান্ত অন্তরের বীজে।

আমি চলিতেছিলাম অন্তরে
সেই সহজ মাটি নিয়া
যে মাটিতে ফলেছিল
সবুজ ভালবাসার বৃক্ষ
স্বপ্রানে সহজিয়া।
সে অরন্য হাড়ানোর কষ্ট নিয়ে
সব দোষ ছিল আমার আমি জানি
আমার মনের বাইরে ছিল মরূভুমি
তাই বানছা কল্পতরুর তরে
পাইনি খুজে শিকড়ে ঢালার মতো পানি।

হে প্রকৃতির মতো নারী-
তোমার কাছে জল হবে কী?
ভালবাসার শিকড়ে ঢালার মতো
প্রানদায়িনী বারি?
তোমার সেই জলের স্পর্ষে
তোমার রুপকথার বর্ষা আবেগে
একটি মৃত অরন্য
আবার উঠতে পারে জেগে।
-অনি
২৪/০৫/১৫
দুপুর ১:৩২