সময়কাল ১৯৯৫ থেকে ৯৬ তে ধর্ম আমার মনে তার প্রতি দ্বিধার ছাপ ফেলতে শুরু
করে। আমি সহজ মনে ঐসব দ্বিধান্বিত প্রশ্ন আমার পরিবারে আমার চারপাশে
জিজ্ঞেস করা শুরু করি। এমন কি যেই হুজুরের কাছে আমার আরবী শিক্ষা তার
কাছেও। এতে প্রথমে ঝাড়ি তারপর বেতের বাড়ি। তবে যে যত গলা উচু করেই উত্তর
দিতে চাইতেন আমি লক্ষ্য করতাম আসলে তারা উত্তর দিতে পারছেন না। গুলিয়ে
ফেলছেন। যত গুলিয়ে ফেলছেন তত উত্তেজিত হচ্ছেন। অতপর আমি ঐ সব জিজ্ঞাসা আমার
কতিপয় বন্ধুদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখি। ওমা! তারাও দেখি আমাকে সহ্য করতে
পারছে না। কেউ কেউ বলেই ফেলল দেখ এসব নিয়ে কথা বললে আমাদের কাছে আসিস না।
আমি মনে মনে ভাবতাম - আমি এমন কেন? আমার মনেই কেন এত প্রশ্ন আর উত্তর।
একসময় একা একা পড়া শুরু করলাম। প্রথমেই ধর্ম গ্রন্থ। যা হাতের কাছে পাই।
পড়তে পড়তে দেখি অন্তহীন প্যারাডক্স। একেকটা বিষয়কে হাজার দিক থেকে ভুল ধরে
ব্যাখ্যা করা যায়। মনে মনে বললাম খাইসে। আবার বন্ধুদের কাছে। ওরাও যেহেতু
আমি বেশি বই পড়ি তাই একটু একটু করে শুনতে শুরু করলো। আমি সিগেরেট ধরিয়ে
জিজ্ঞেস করতাম কি বুঝলি? ওরা স্থানু হয়ে তাকিয়ে থাকতো। তারপর ধীরে ধীরে
দেখি আমি না অনেক লেখকই এই বিষয় নিয়ে ভেবেছেন লিখেছেন। তখন মনে হল না আমি
একা না। আমার ভাবনা অমুলক না। এরপর একে একে দেখি একী! এযে এক বিশাল
জ্ঞানের জগত! কত মনি মুক্তা পরে আছে এদিক সেদিক। কতজন কত ত্যাগ স্বীকার
করছেন। আমার পড়াশোনার মুল ঝোক তখন এই দিকে। যে দিকে যা পাই গোগ্রাসে পড়ি।
আমার পরিবার আমার সমাজ আমার মুল্যবোধ সমস্তই নতুন এক আবর্তে ঘুর পাক খেতে
লাগল। সময় বয়ে যেতে লাগল...
মজার ব্যাপার লক্ষ্য করলাম পরে। দেখি আরে বিষয়টা আইনস্টাইন জানেন। আশ্চর্য! দেখি রবীন্দ্রনাথও জানেন! বলেকি? আমার মাথা খারাপের দশা। ওমা আমার লালনও জানেন। ওমা সবাই জানে? মানিক? জীবনানন্দ, নজরুল, দস্তয়ভস্কি, রাসেল, সবাই সবাই। এমন কি হুমায়ুন আহমেদ। ওনার ছোট ভাই জাফর ইকবাল? রোকেয়াও জানতেন? মজাতো। এখন আর নিজেকে একা লাগে না। আমি জানি আমার অগ্রজ যারা তারা সকলেই এই বিষয়টিকে বুঝেছেন। আমি মনের আনন্দে পড়ি। পড়তে গিয়ে দেখি আমাকে অন্য বিষয়ের চোরা বালি টানে। বিষয়ের নাম ইতিহাস। এখন কি করি? ইতিহাস পড়তে হবে। শুরু হল ইতিহাস খোজা। ইতিহাসের গোলক ধাধায় নিয়ে ফেলল আর্কিয়লজি। প্রত্নতত্ত্ব না জানলে হচ্ছে না। এবার লাগি প্রত্নতত্তের পিছনে। এই এক ভীষন অদ্ভুদ জগত। ধর্মের চেয়ে ইতিহাস অনেক বেশি হাই ডোজের। আর প্রত্নতত্ত্ব চেতনা আর জন্মের মূল ধরে টানছে। চোখ বড় বড় করে জানছি সেই সুদুর অতীতকে। এখন প্রত্নতত্ত্ব আমাকে দেখাচ্ছে মহাকাশ। মাটির তল হাতরিয়ে আমাকে আকাশের দিকে তাকাতে হচ্ছে। এবার গ্যালাক্সি, এলিয়েন। প্যারাডক্স।
কোথায় পরে থাকে স্কুল কলেজের শিক্ষা কোথায় পরে থাকে আচার ব্যাবহার ভদ্রতা। কোথায় ঝুলে আছে আলটিমেট রিয়েলিটি। যাইহোক। এই সব পড়ার দেখার খোঁজার ফাকে আমার কিছু প্রিয় মানুষ তৈরি হয়। এটা স্বাভাবিক। অথচ ওনারা কেউ এথিজম নিয়ে জীবন পার করলেন না। তারা তাদের জীবনের পথে এথিজমকে আত্বস্থ করেছেন একটি ডাইমেনশন হিসেবে। জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হিসেবে নয়। তারা হেটেছেন নিজেদের স্বতন্ত্র পথেই। এবং সেটাই হয়েছে তাদের আল্টিমেট পরিচয়। আজ অনেক মেধাবী তরুন তরুনী লেখক ফেসবুকে লেখেন। তাদের লেখাতে শুধুই এথিজম। শুধুই নারীবাদ। যেনো তাদের জীবন আটকে গেছে শুধু এই দু'য়ে। এর মধ্যে কারো কারো লেখার ভাষা খুবই অরুচিকর। অথচ মেধাবী। আমি ভাবি এই পৃথিবীতে কতশত নারী সংগঠন কত এথিষ্ট কমিউনিটি অথচ তাদের চেয়ে একজন রবিন্দ্রনাথ একজন তসলিমা একজন হুমায়ুন আজাদ কত বেশি প্রভাবশালী আধুনিক সভ্যতায়। লালন এবং বাউল ফিলসফি একাই পারে কি ভীষন এক জ্ঞান পিপাসু শিক্ষিত মন তৈরি করতে। আমরা ঝগড়া লাগলে বিচার করতে বসে জিজ্ঞেস করি - তোকে ও কি কি বলেছে বল? যেনো সেটা শুনলেই বাদীর ন্যায্য সম্মান ফিরিয়ে দেয়া যাবে। ইনজাস্টিস ট্রাবল শ্যুট কখনই যেমন প্রপার জাস্টিস প্রভাইড করে না। তেমনি নারী কোথায় কোথায় অবহেলিত সেটা বলে বলেও নারীকে তার সম্মানের জায়গায় আনা যাবেনা। নারীকে শিক্ষা দাও সে আপনিই তোমাকে ছাড়িয়ে যাবে। চুলাচুলি আর চুল চেরা বিশ্লেষণে কোন মুক্তিই সম্ভব নয়। যে ব্যাক্তির আত্ম মর্যাদা আছে সে সম্মান পাবেই। আব্রাহাম লিকংনও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নিক্সনও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কিন্তু সম্মানের জায়গাটা এক নয়। আমাদের দেশে এরশাদো প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবও প্রেসিডেন্ট কিন্তু সম্মানের জায়গা এক নয়। মাদার তেরেসার সম্মানের জায়গা একজন বাংলা সিনেমার উঠতি নায়িকা যেমন নিতে পারবে না তেমনি নারায়নগঞ্জ এর একজন পুরুষ এমপিও নিতে পারবেনা। নিজেকে সম্মান করার শিক্ষাটা আগে তৈরি হোক। সবাই সম্মান দিবে।
ব্যাক্তি জীবন পরিচালিত হয় আদর্শে। হুজুগে না।
সেই আদর্শের একটা বড় রুপ হচ্ছে নিজেকে একজন কর্মি হিসেবে তৈরি করা। সেটা একটা সুন্দর পৃথিবীর জন্যে। যেই পৃথিবী অপেক্ষা করে আছে সিংগুলারিটির জন্যে।
- অনি।
রাত- ১১:৪৯
০৬/০৬/১৫
মজার ব্যাপার লক্ষ্য করলাম পরে। দেখি আরে বিষয়টা আইনস্টাইন জানেন। আশ্চর্য! দেখি রবীন্দ্রনাথও জানেন! বলেকি? আমার মাথা খারাপের দশা। ওমা আমার লালনও জানেন। ওমা সবাই জানে? মানিক? জীবনানন্দ, নজরুল, দস্তয়ভস্কি, রাসেল, সবাই সবাই। এমন কি হুমায়ুন আহমেদ। ওনার ছোট ভাই জাফর ইকবাল? রোকেয়াও জানতেন? মজাতো। এখন আর নিজেকে একা লাগে না। আমি জানি আমার অগ্রজ যারা তারা সকলেই এই বিষয়টিকে বুঝেছেন। আমি মনের আনন্দে পড়ি। পড়তে গিয়ে দেখি আমাকে অন্য বিষয়ের চোরা বালি টানে। বিষয়ের নাম ইতিহাস। এখন কি করি? ইতিহাস পড়তে হবে। শুরু হল ইতিহাস খোজা। ইতিহাসের গোলক ধাধায় নিয়ে ফেলল আর্কিয়লজি। প্রত্নতত্ত্ব না জানলে হচ্ছে না। এবার লাগি প্রত্নতত্তের পিছনে। এই এক ভীষন অদ্ভুদ জগত। ধর্মের চেয়ে ইতিহাস অনেক বেশি হাই ডোজের। আর প্রত্নতত্ত্ব চেতনা আর জন্মের মূল ধরে টানছে। চোখ বড় বড় করে জানছি সেই সুদুর অতীতকে। এখন প্রত্নতত্ত্ব আমাকে দেখাচ্ছে মহাকাশ। মাটির তল হাতরিয়ে আমাকে আকাশের দিকে তাকাতে হচ্ছে। এবার গ্যালাক্সি, এলিয়েন। প্যারাডক্স।
কোথায় পরে থাকে স্কুল কলেজের শিক্ষা কোথায় পরে থাকে আচার ব্যাবহার ভদ্রতা। কোথায় ঝুলে আছে আলটিমেট রিয়েলিটি। যাইহোক। এই সব পড়ার দেখার খোঁজার ফাকে আমার কিছু প্রিয় মানুষ তৈরি হয়। এটা স্বাভাবিক। অথচ ওনারা কেউ এথিজম নিয়ে জীবন পার করলেন না। তারা তাদের জীবনের পথে এথিজমকে আত্বস্থ করেছেন একটি ডাইমেনশন হিসেবে। জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হিসেবে নয়। তারা হেটেছেন নিজেদের স্বতন্ত্র পথেই। এবং সেটাই হয়েছে তাদের আল্টিমেট পরিচয়। আজ অনেক মেধাবী তরুন তরুনী লেখক ফেসবুকে লেখেন। তাদের লেখাতে শুধুই এথিজম। শুধুই নারীবাদ। যেনো তাদের জীবন আটকে গেছে শুধু এই দু'য়ে। এর মধ্যে কারো কারো লেখার ভাষা খুবই অরুচিকর। অথচ মেধাবী। আমি ভাবি এই পৃথিবীতে কতশত নারী সংগঠন কত এথিষ্ট কমিউনিটি অথচ তাদের চেয়ে একজন রবিন্দ্রনাথ একজন তসলিমা একজন হুমায়ুন আজাদ কত বেশি প্রভাবশালী আধুনিক সভ্যতায়। লালন এবং বাউল ফিলসফি একাই পারে কি ভীষন এক জ্ঞান পিপাসু শিক্ষিত মন তৈরি করতে। আমরা ঝগড়া লাগলে বিচার করতে বসে জিজ্ঞেস করি - তোকে ও কি কি বলেছে বল? যেনো সেটা শুনলেই বাদীর ন্যায্য সম্মান ফিরিয়ে দেয়া যাবে। ইনজাস্টিস ট্রাবল শ্যুট কখনই যেমন প্রপার জাস্টিস প্রভাইড করে না। তেমনি নারী কোথায় কোথায় অবহেলিত সেটা বলে বলেও নারীকে তার সম্মানের জায়গায় আনা যাবেনা। নারীকে শিক্ষা দাও সে আপনিই তোমাকে ছাড়িয়ে যাবে। চুলাচুলি আর চুল চেরা বিশ্লেষণে কোন মুক্তিই সম্ভব নয়। যে ব্যাক্তির আত্ম মর্যাদা আছে সে সম্মান পাবেই। আব্রাহাম লিকংনও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নিক্সনও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কিন্তু সম্মানের জায়গাটা এক নয়। আমাদের দেশে এরশাদো প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবও প্রেসিডেন্ট কিন্তু সম্মানের জায়গা এক নয়। মাদার তেরেসার সম্মানের জায়গা একজন বাংলা সিনেমার উঠতি নায়িকা যেমন নিতে পারবে না তেমনি নারায়নগঞ্জ এর একজন পুরুষ এমপিও নিতে পারবেনা। নিজেকে সম্মান করার শিক্ষাটা আগে তৈরি হোক। সবাই সম্মান দিবে।
ব্যাক্তি জীবন পরিচালিত হয় আদর্শে। হুজুগে না।
সেই আদর্শের একটা বড় রুপ হচ্ছে নিজেকে একজন কর্মি হিসেবে তৈরি করা। সেটা একটা সুন্দর পৃথিবীর জন্যে। যেই পৃথিবী অপেক্ষা করে আছে সিংগুলারিটির জন্যে।
- অনি।
রাত- ১১:৪৯
০৬/০৬/১৫
No comments:
Post a Comment