Sunday, 6 September 2015

নিয়ন আলো,
গাছের পাতায় বৃষ্টি ফোটায় চোখ জুড়ালো
বৃষ্টি পরে-
চাপা উৎসবের আনন্দ নিয়ে সবার উপরে
কোটি মুক্তার মতো বর্ষা ঝরে ঝর ঝর ঝর
আজকে রাতে মুক্তা ধারায় ভিজছে শহর। 

ঝিরঝির জল বাতাসেতে ঝরে আকুল করে
শিরশির হাওয়া শিরায় শিরায় হৃদয় ভরে
রিক্সায় বসে রাস্তায় চলি শীত লাগে খুব
নির্জন এই রাত্রির পথ বড়ো অপরূপ... 

তুমি যে পাশে...
হৃদয়ের মৃদু গুড়ু গুড়ু রব কালো আকাশে
বৃষ্টির ছাট্‌ বারবার তবো আঁচল চুমায়
গুড়ি গুড়ি জলে মুখ চুল আর গা ভিজে যায়
গা ঘেঁষা গাঁয় – হৃদয়ে জাগায় প্রনয় নিখুঁত
অন্ধকারে তীব্র আলো,
আকাশ চিঁড়ে উঁকি দেয় ঐ নীল বিদ্যুৎ।

ভেজা হাত তোমার কখন যেনো আমার হাতে
রিক্সা চলে হুড তুলে দিয়ে বর্ষা রাতে
নদীর মত রাস্তার বুকে কোটি ফোটা জল
আমার বুকেও শত শত ঢেউ করে ছল্‌ ছল্‌।

রজনী রসিক-
কোন দুজনের জমবে প্রনয় বুঝে যায় ঠিক
ভিজে কাই হবে কোন সে দু’জন বর্ষা ধারায়
কী চায় এ মন-
রাত্রি সে কথা ঠিক বুঝে যায়। 

আমরা নিরব...
মেঘের বুকে জল ঝরানোর মহা উৎসব
সেই উৎসবে আমরা নিরবে গোপনে ঝরি
আকাশ ভাঙ্গে-
মেঘ ঝরে তারে উজার করি
ঝর ঝর ঝর ঝর ঝর ঝর গায় কাজরী।

জমানো মনের কথার মতো বৃষ্টি ঝরে...
ইচ্ছেমত চুমু খায় তব মুখের উপরে...
আমার গোপন ইচ্ছের মতো বৃষ্টি পরে... 

বৃষ্টি বাড়ে...
ঘন রজনীর উতল হাওয়া মাতাল বিভোর
নিয়ন আলোয় বৃষ্টি ফোটায় ভিজছে শহর
বললে তুমি ভিজেই গেছি হুড ফেলে দেই
দেখবে কে আর অন্ধকারে?
মাথার উপর রাতের মতোই বৃষ্টি বাড়ে
আসলে কাছে...
অনেক কাছে...

ঝিরঝির জল বাতাসেতে ঝরে আকুল করে
শিরশির হাওয়া শিরায় শিরায় হৃদয় ভরে
রিক্সায় বসে রাস্তায় চলি মন চায় খুব
নির্জন এই রাত্রির পথ বড় অপরুপ। 

- অনি


ঢাকা শহরের বৃষ্টিতে তেমন একটা বর্ষাযাপন আমেজ নেই। রাস্তায় জ্যাম বেড়ে যায়। সব রাস্তায় পানি জমে। বিদ্যুৎ চলে যায়।অন্ধকার রাস্তায় আমাদের পা কিভাবে কিভাবে যেন ম্যানহোলে ঢুকে যায়। রিক্সাও দু একটা উলটিয়ে পড়ে। আমরা পথচারীরা হেসে ফেলি। রিক্সার যাত্রি জল-কাদায় একাকার হয়ে বাড়িতে ফেরে। হয়তবা বাসায় গিয়ে দেখে কলে পানি নাই। যাই হোক এই যখন বর্ষায় আমাদের শহরের রুপ তখন যারা বর্ষা প্রেমি তারা একটু বিব্রত হয়ে পরে। কারণ তারা তাদের প্রিয় ঋতুর উপর রাগও করতে পারেনা আবার রাবিন্দ্রীক বর্ষার আমেজটিও পায়না। এরকমই বর্ষার রাতে আমি নির্জন রাস্তার পাশে একটা চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে আছি। অনেক মানুষ ছোট্ট একটা শেডের নীচে দাঁড়ানো। আমার শরীরের অনেকাংশে ভিজে গেছে। প্যান্টে কাদা ছিটাচ্ছে বৃষ্টির পানি। আমার প্রচন্ড বিরক্ত লাগছে।
তখন হঠাৎ দেখি এই ঝুম বৃষ্টির ভিতরে দুইটি তরুন-তরুনী রিক্সার হুড ফেলে দিয়ে ভিজতে ভিজতে যাচ্ছে। তাদের চোখে মুখে লেগে আছে ভালোবাসায় মাখানো বর্ষার জল। নিয়ন আলোয় ভেজা রাস্তা দিয়ে তারা মুহুর্তে হাড়িয়ে গেল। আর সঙ্গে সঙ্গে আমার মনটা ভালো করে দিয়ে গেল। ওদের কে মনে মনে ধন্যবাদ দিলাম। একটা সিগেরেট জ্বালিয়ে আয়েশ করে একটা টান দিয়ে ভাবলাম ওদের জন্য একটা কবিতা উৎসর্গ করলে কেমন হয়?
আমার এই কবিতাটি ঐ নাম না জানা তরুন ও তরুনিটির জন্য।

No comments:

Post a Comment