১৯৯৬ সনের মাঝামাঝি।
মন্ত্রমুগ্ধের মতো এক লেখকের লেখা পড়ছি। তার বইয়ের এক চরিত্র তার কল্পনার বেহেস্তের বর্ননা দিচ্ছে...
- নিজের বেহেশত নিজের মত করা গেলে আমার বেহেশত কি রকম হবে তোমাকে বলি - সুন্দর একটা বিছানা থাকবে, বিছানায় বেশ কয়েকটা বালিশ। চারপাশে আলমিরা ভর্তি বই, একদম হাতের কাছে, যেন বিছানা থেকে না নেমেই বই নিতে পারি। কলিং বেল থাকবে - বেল টিপলেই চা আসবে।
' গান শোনার ব্যাবস্থা থাকবে না? '
' ভাল কথা মনে করেছ। অবশ্যই গান শোনার ব্যবস্থা থাকবে। সফট স্টেরিও মিউজিক সারাক্ষন হবে। মিউজিক পছন্দ না হলে আপনা আপনি অন্য মিউজিক বাজা শুরু হবে। হাত দিয়ে বোতাম টিপে ক্যাসেট বদলাতে হবে না।'
' সারাক্ষণ ঘরে বন্দি থাকতে ভাল লাগবে? '
' বন্দি বলছো কেন? বই খোলা মানে নতুন একটা জগৎ খুলে দেয়া। '
' তারপরেও আপনার হয়তো আকাশ দেখতে ইচ্ছা করবে। '
' এটাও মন্দ বলনি। হ্যা থাকবে, বিশাল একটা জানালা আমার ঘরে থাকবে। তবে জানালায় মোটা পর্দা দেয়া থাকবে। যখন আকাশ দেখতে ইচ্ছে করবে - পর্দা সরিয়ে দেব। '....
বইটি পড়ে কিশোর আমি ঘুমিয়ে পরি। এই ভাবতে ভাবতে ঘুমাই ইস আমারো যদি এমন একটি ঘর থাকতো! তখন আমি বাইরের ঘরে থাকি। আমার বিছানার পাশ দিয়ে রান্না ঘরে যাওয়ার রাস্তা। বুয়া, আমার মা, বোন কেউ না কেউ সারাক্ষনই যাচ্ছে আসছে। আমার ঘর দিয়েই বাইরে যাওয়ার দরজা। পাশের বাসার আন্টি, তাদের বাচ্চারা, ফেরিওয়ালা, ভিক্ষুক, কেউ না কেউ আসছেই। দরজা বলতে গেলে খোলাই থাকে। আমার বন্ধুরাও কেউ না কেউ আসছে। এক মহা কোলাহল। কিন্তু মনের কোনে ঠিকই রয়ে গেছে লেখকের ঐ কাল্পনিক বেহেশতের ছবি।
এই গল্প পড়ার প্রায় পনের বছর পরে আমি আমার জন্যে প্রায় এমন একটি বেহেশত বানাই। যেখানে মানুষের যাতায়াত নেই। বই, গান, আকাশ আর নির্জনতা আছে।
তার আরেকটি বইয়ে এক লোক গ্রামে থাকেন। একা একা টেলিস্কোপ দিয়ে আকাশের তারা দেখেন। তাকে ঘিরে থাকে এক আশ্চর্য রহস্যময়তা। তার ব্যাক্তিগত নিঃস্বংগতা তিনি ছড়িয়ে দেন অনন্ত মহাকাশের অসীম ভ্রম্মান্ডে।
তখন আমি সারাদিন ক্রিকেট খেলি। বিকেলে আড্ডা দেই। রাতে কোন না কোন ফ্রেন্ডের বাসায় থেকে যাই। রাতে তাস খেলা হয়। গান বাজনা হয়। ভোর বেলা নাস্তা খেতে যাই প্রিন্সে - মুরগীর সুপ আর পরটা। বাসায় ফিরে দেই ঘুম। ঘুম থেকে উঠেই আড্ডায় না হয় মাঠে। কিসের তারা দেখা কিসের একা থাকা। বন্ধু আছে আর কি লাগে? বাসা থেকে বকাঝকা দেয়া শেষ। তারা আমাকে খরচের খাতায় পোষ্টং দিয়ে দিয়েছে। ধরেই নিয়েছে একে দিয়ে কিছুই হবেনা।
সেই আমি বইটি পড়ার প্রায় দশ বছর পর একদিন নাসাতে একটি অর্ডার দেয়ার জন্যে আমার এক বন্ধু মহিকে অনুরোধ করে বসি। সেটা একটি টেলিস্কোপের জন্যে। গ্যালিলিও টেলিস্কোপ। খুব সাধারন। তবে মঙ্গলের পৃষ্ঠ দেখা যাবে, চন্দ্র পৃষ্ঠ দেখা যাবে, আরো দেখা যাবে শনির বলয়। অর্ডার দেবার প্রায় একবছর পরে সেটি আমার হাতে আসে। আমাকে এখন প্রায়ই একা একা ছাদে ঘন্টার পর ঘন্টা টেলিস্কোপটি নিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখা যায়। সেই সব আড্ডা আর খেলার দিন আজ কোথায় হাড়িয়ে গেছে জানিনা। সেইসব দিন আজ দুরে অনেক দুরে। শুধু সেই দিনের রাত জাগা আকাশের তারাগুলো আরেকটু কাছে নিয়ে আসে এই কালো টেলিস্কোপটি।
একটি সময়ে নিয়ম করে বৃষ্টিতে ভিজতাম। কোন বৃষ্টিই মিস করতাম না। কারন আমার প্রিয় লেখকটি বৃষ্টিতে ভেজেন।
ঢাকার পথে পথে একসময় কত কত হেঁটেছি। রোদ বৃষ্টি কুয়াশায়। কারন তিনি হাঁটার গল্প বলতেন।
আমাকে প্রচুর সিগেরেট টানতে দেখা যায় কারন তিনি চেন স্মোকার ছিলেন। আমার বাসায় যারা আসেন এখনো, আমার খুবিই ঘনিষ্ট দুই একজন বন্ধু - তারা জানেন, আমি সারা ঘরে ঘন্টার পর ঘন্টা পায়চারী করি। কেন? কারন আমার প্রিয় ঐ লেখকটি করতেন।
আমি ছোটবেলা থেকেই খুব দুরন্ত অস্থির টাইপ ছিলাম। এক জায়গায় স্থির হতে পারতাম না দুই মিনিটের জন্যে। কতক্ষনে বাইরে যাবো। যেনো বাইরে গেলেই আমার মুক্তি। ছেলেবেলায় যে কটা জিনিস সবচেয়ে অসহ্য লাগতো সেটা হচ্ছে হচ্ছে নাঁকি গলায় রবীন্দ্রসঙ্গীত আর বই পড়া। বই দেখলেই মনে হতো ছেলেদের জেলখানা। কোন সুস্থ মানুষ কিভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা বই পড়ে সেটা ছিল আমার কাছে এক ধাঁধাঁর বিষয়। সেই বালক আমি তার বই পড়া শুরু করার পর থেকে আজকে অবদি বই পড়া একটি দিনের জন্যে ছাড়তে পারিনাই। আমার শিয়রে বালিসের কাছে বই থাকবেই।
আমি ছোটবেলা থেকেই কোরান খতম, পাঁচ ওয়াক্ত নামায, রোজারাখা এইসব ধর্মিও বিষয়ে অতি উৎসাহি ছিলাম। অথচ আমার প্রিয় লেখকটি আমাকে ফ্রি থিংকার বানিয়ে চলে গেলেন। যদিও মাহফুজ আহমেদের একটি সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেকে আস্তিক বলে স্বীকার করেছিলেন। এই ক্ষেত্রে হয়তো আমি তার পদাঙ্ক অনুসরণ করিনাই। তবুও আমি আজকে যা সেটা তার জন্যেই।
আমি বই মেলায় যাই না। কারন আমার মন এখনো মানতে পারছে না। তিনি আর নতুন বই লিখছেন না। নতুন গল্প লিখবেন না। আমার বুকসেল্ফে তার বই এনে আমি সিরিয়াল লিখে রাখবোনা। নতুন বইয়ের ভূমিকা পড়ে হেসে উঠবো না। কতক্ষনে বাসায় এসে বইটা এক নিঃস্বাসেপড়ে শেষ করবো এই উত্তেজনা আর জীবনে আসবেনা।
আমার মনের ভিতরের মিসির আলী আর নতুন কোন কেস হাতে নেননা। হিমু আর রুপার জন্যে কোন গভীর রাতে রাস্তায় এসে দাড়ায় না।
অথচ আজ সেই শ্রাবন মেঘের দিন। আষাঢ় মাইসসা ভাসা পানি... বাংলার প্রান্তরে প্রান্তরে।
তিনি নেই। তিনি আর তৃতীয় মাত্রায় নেই। কিন্তু অনন্ত মাত্রায় তিনি রয়েগেছেন তার পাঠকের মনের জগতে। কি প্রচন্ড তার স্বপ্ন ছড়িয়ে দেবার ক্ষমতা। তাকে ধারন করে আছে আজ বাংলায় তার কোটি ভক্তকুল। তিনি যেখানে থেমেছেন সেখান থেকেই তিনি আমাদের সবার মাঝে মিলিয়ে গেলেন। আজ আমরা তার ভক্তরা সবাই হুমায়ুনাইজড। যতদিন মানুষের স্বপ্ন দেখা ফুরাবেনা। ততদিন হুমায়ূন আহমেদ ফুরাবেন না।
যেহেতু বাইরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে তাই আমার ঘরে বাজাচ্ছি একটার পর একটা বর্ষার গান।
এখন শুনছি...
যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো এক বর্ষায়
এসো ঝরঝর বৃষ্টিতে জলভরা দৃষ্টিতে
এসো কোমল শ্যামল ছায়-
চলে এসো তুমি চলে এসো এক বর্ষায়...
- অনি
মন্ত্রমুগ্ধের মতো এক লেখকের লেখা পড়ছি। তার বইয়ের এক চরিত্র তার কল্পনার বেহেস্তের বর্ননা দিচ্ছে...
- নিজের বেহেশত নিজের মত করা গেলে আমার বেহেশত কি রকম হবে তোমাকে বলি - সুন্দর একটা বিছানা থাকবে, বিছানায় বেশ কয়েকটা বালিশ। চারপাশে আলমিরা ভর্তি বই, একদম হাতের কাছে, যেন বিছানা থেকে না নেমেই বই নিতে পারি। কলিং বেল থাকবে - বেল টিপলেই চা আসবে।
' গান শোনার ব্যাবস্থা থাকবে না? '
' ভাল কথা মনে করেছ। অবশ্যই গান শোনার ব্যবস্থা থাকবে। সফট স্টেরিও মিউজিক সারাক্ষন হবে। মিউজিক পছন্দ না হলে আপনা আপনি অন্য মিউজিক বাজা শুরু হবে। হাত দিয়ে বোতাম টিপে ক্যাসেট বদলাতে হবে না।'
' সারাক্ষণ ঘরে বন্দি থাকতে ভাল লাগবে? '
' বন্দি বলছো কেন? বই খোলা মানে নতুন একটা জগৎ খুলে দেয়া। '
' তারপরেও আপনার হয়তো আকাশ দেখতে ইচ্ছা করবে। '
' এটাও মন্দ বলনি। হ্যা থাকবে, বিশাল একটা জানালা আমার ঘরে থাকবে। তবে জানালায় মোটা পর্দা দেয়া থাকবে। যখন আকাশ দেখতে ইচ্ছে করবে - পর্দা সরিয়ে দেব। '....
বইটি পড়ে কিশোর আমি ঘুমিয়ে পরি। এই ভাবতে ভাবতে ঘুমাই ইস আমারো যদি এমন একটি ঘর থাকতো! তখন আমি বাইরের ঘরে থাকি। আমার বিছানার পাশ দিয়ে রান্না ঘরে যাওয়ার রাস্তা। বুয়া, আমার মা, বোন কেউ না কেউ সারাক্ষনই যাচ্ছে আসছে। আমার ঘর দিয়েই বাইরে যাওয়ার দরজা। পাশের বাসার আন্টি, তাদের বাচ্চারা, ফেরিওয়ালা, ভিক্ষুক, কেউ না কেউ আসছেই। দরজা বলতে গেলে খোলাই থাকে। আমার বন্ধুরাও কেউ না কেউ আসছে। এক মহা কোলাহল। কিন্তু মনের কোনে ঠিকই রয়ে গেছে লেখকের ঐ কাল্পনিক বেহেশতের ছবি।
এই গল্প পড়ার প্রায় পনের বছর পরে আমি আমার জন্যে প্রায় এমন একটি বেহেশত বানাই। যেখানে মানুষের যাতায়াত নেই। বই, গান, আকাশ আর নির্জনতা আছে।
তার আরেকটি বইয়ে এক লোক গ্রামে থাকেন। একা একা টেলিস্কোপ দিয়ে আকাশের তারা দেখেন। তাকে ঘিরে থাকে এক আশ্চর্য রহস্যময়তা। তার ব্যাক্তিগত নিঃস্বংগতা তিনি ছড়িয়ে দেন অনন্ত মহাকাশের অসীম ভ্রম্মান্ডে।
তখন আমি সারাদিন ক্রিকেট খেলি। বিকেলে আড্ডা দেই। রাতে কোন না কোন ফ্রেন্ডের বাসায় থেকে যাই। রাতে তাস খেলা হয়। গান বাজনা হয়। ভোর বেলা নাস্তা খেতে যাই প্রিন্সে - মুরগীর সুপ আর পরটা। বাসায় ফিরে দেই ঘুম। ঘুম থেকে উঠেই আড্ডায় না হয় মাঠে। কিসের তারা দেখা কিসের একা থাকা। বন্ধু আছে আর কি লাগে? বাসা থেকে বকাঝকা দেয়া শেষ। তারা আমাকে খরচের খাতায় পোষ্টং দিয়ে দিয়েছে। ধরেই নিয়েছে একে দিয়ে কিছুই হবেনা।
সেই আমি বইটি পড়ার প্রায় দশ বছর পর একদিন নাসাতে একটি অর্ডার দেয়ার জন্যে আমার এক বন্ধু মহিকে অনুরোধ করে বসি। সেটা একটি টেলিস্কোপের জন্যে। গ্যালিলিও টেলিস্কোপ। খুব সাধারন। তবে মঙ্গলের পৃষ্ঠ দেখা যাবে, চন্দ্র পৃষ্ঠ দেখা যাবে, আরো দেখা যাবে শনির বলয়। অর্ডার দেবার প্রায় একবছর পরে সেটি আমার হাতে আসে। আমাকে এখন প্রায়ই একা একা ছাদে ঘন্টার পর ঘন্টা টেলিস্কোপটি নিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখা যায়। সেই সব আড্ডা আর খেলার দিন আজ কোথায় হাড়িয়ে গেছে জানিনা। সেইসব দিন আজ দুরে অনেক দুরে। শুধু সেই দিনের রাত জাগা আকাশের তারাগুলো আরেকটু কাছে নিয়ে আসে এই কালো টেলিস্কোপটি।
একটি সময়ে নিয়ম করে বৃষ্টিতে ভিজতাম। কোন বৃষ্টিই মিস করতাম না। কারন আমার প্রিয় লেখকটি বৃষ্টিতে ভেজেন।
ঢাকার পথে পথে একসময় কত কত হেঁটেছি। রোদ বৃষ্টি কুয়াশায়। কারন তিনি হাঁটার গল্প বলতেন।
আমাকে প্রচুর সিগেরেট টানতে দেখা যায় কারন তিনি চেন স্মোকার ছিলেন। আমার বাসায় যারা আসেন এখনো, আমার খুবিই ঘনিষ্ট দুই একজন বন্ধু - তারা জানেন, আমি সারা ঘরে ঘন্টার পর ঘন্টা পায়চারী করি। কেন? কারন আমার প্রিয় ঐ লেখকটি করতেন।
আমি ছোটবেলা থেকেই খুব দুরন্ত অস্থির টাইপ ছিলাম। এক জায়গায় স্থির হতে পারতাম না দুই মিনিটের জন্যে। কতক্ষনে বাইরে যাবো। যেনো বাইরে গেলেই আমার মুক্তি। ছেলেবেলায় যে কটা জিনিস সবচেয়ে অসহ্য লাগতো সেটা হচ্ছে হচ্ছে নাঁকি গলায় রবীন্দ্রসঙ্গীত আর বই পড়া। বই দেখলেই মনে হতো ছেলেদের জেলখানা। কোন সুস্থ মানুষ কিভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা বই পড়ে সেটা ছিল আমার কাছে এক ধাঁধাঁর বিষয়। সেই বালক আমি তার বই পড়া শুরু করার পর থেকে আজকে অবদি বই পড়া একটি দিনের জন্যে ছাড়তে পারিনাই। আমার শিয়রে বালিসের কাছে বই থাকবেই।
আমি ছোটবেলা থেকেই কোরান খতম, পাঁচ ওয়াক্ত নামায, রোজারাখা এইসব ধর্মিও বিষয়ে অতি উৎসাহি ছিলাম। অথচ আমার প্রিয় লেখকটি আমাকে ফ্রি থিংকার বানিয়ে চলে গেলেন। যদিও মাহফুজ আহমেদের একটি সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেকে আস্তিক বলে স্বীকার করেছিলেন। এই ক্ষেত্রে হয়তো আমি তার পদাঙ্ক অনুসরণ করিনাই। তবুও আমি আজকে যা সেটা তার জন্যেই।
আমি বই মেলায় যাই না। কারন আমার মন এখনো মানতে পারছে না। তিনি আর নতুন বই লিখছেন না। নতুন গল্প লিখবেন না। আমার বুকসেল্ফে তার বই এনে আমি সিরিয়াল লিখে রাখবোনা। নতুন বইয়ের ভূমিকা পড়ে হেসে উঠবো না। কতক্ষনে বাসায় এসে বইটা এক নিঃস্বাসেপড়ে শেষ করবো এই উত্তেজনা আর জীবনে আসবেনা।
আমার মনের ভিতরের মিসির আলী আর নতুন কোন কেস হাতে নেননা। হিমু আর রুপার জন্যে কোন গভীর রাতে রাস্তায় এসে দাড়ায় না।
অথচ আজ সেই শ্রাবন মেঘের দিন। আষাঢ় মাইসসা ভাসা পানি... বাংলার প্রান্তরে প্রান্তরে।
তিনি নেই। তিনি আর তৃতীয় মাত্রায় নেই। কিন্তু অনন্ত মাত্রায় তিনি রয়েগেছেন তার পাঠকের মনের জগতে। কি প্রচন্ড তার স্বপ্ন ছড়িয়ে দেবার ক্ষমতা। তাকে ধারন করে আছে আজ বাংলায় তার কোটি ভক্তকুল। তিনি যেখানে থেমেছেন সেখান থেকেই তিনি আমাদের সবার মাঝে মিলিয়ে গেলেন। আজ আমরা তার ভক্তরা সবাই হুমায়ুনাইজড। যতদিন মানুষের স্বপ্ন দেখা ফুরাবেনা। ততদিন হুমায়ূন আহমেদ ফুরাবেন না।
যেহেতু বাইরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে তাই আমার ঘরে বাজাচ্ছি একটার পর একটা বর্ষার গান।
এখন শুনছি...
যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো এক বর্ষায়
এসো ঝরঝর বৃষ্টিতে জলভরা দৃষ্টিতে
এসো কোমল শ্যামল ছায়-
চলে এসো তুমি চলে এসো এক বর্ষায়...
- অনি
No comments:
Post a Comment