খুব ভোরে ঘুম ভেঙ্গে গেলো আমার।
শরীর জুড়ে ক্লান্তি আলস্য। শরীর ঝিমঝিম করছে। মুখ থেকে আপনিতেই একটা বিরক্তির শব্দ হলো। শব্দটা মুখে করে শোনানো যায়। বানান করা যায় না। মাথার কাছ থেকে মোবাইল ফোন টেনে নিয়ে সময় দেখলাম- পাঁচটা বাজে। এত ভোরে কেন ঘুম ভেঙেছে ভাবতেই প্রচন্ড জোড়ে বাজ পরলো। কেঁপে উঠলাম। বুঝলাম এর আগেরটাই ঘুমটা ভাঙিয়েছে। ঘরের মধ্যে আশ্চর্য কোমল আলো। এই আলোয় উত্তাপ নেই আদর আছে। জানালার কাচে বৃষ্টির অজস্র ফোটা গলে গলে নামছে। কান্না ভরা চোখে বাইরেটা দেখতে যেমন ঝাপসা ঝাপসা লাগে জানলা দিয়ে ঠিক তেমনি দেখাচ্ছে বাহিরটা এখন। আমি সিগেরেট জ্বালালাম। বেশ হালকা একটা টান দিলাম। দিনের প্রথম সিগেরেটের প্রথম টানটা হালকা দিতে হয়। শিশুর কপালে চুমু খাওয়ার মতো। আর দিনের শেষ সিগেরেটে দিতে হয় খোরের মতো টান। গাজায় দম দেয়া টান। বারান্দায় এসে দেখি চেয়ারটা ভিজে আছে বৃষ্টিতে। সেই ভেজা চেয়ারেই বসলাম। পা তুলে দিলাম রেলিংএ। বেশ একটা আয়েশি ভঙ্গি। আমার ঘরটা ছ'তলায় তাই বারান্দায় বসলে চারপাশটা বেশ একটু চোখে পরে। স্প্রের মতো বৃষ্টি হচ্ছে। মিহি বৃষ্টি। এটাকেই কি ড্রিজলিং বলে? সকালের পরিবেশটা অসম্ভব সতেজ। ঘরের বউ যেমন ভোর বেলায় উঠে স্নান সেরে ভেজা চুলে একটা সতেজ নির্মল রুপে নিজেকে প্রকাশ করে। আজকের সকালের পরিবেশটাও তেমনি। ভেজা, সতেজ, সজীব, নির্মল।
আমার ভেতরটাও যেনো একটু গাঢ় হয়ে উঠলো।
আমার পাশের বিল্ডিংটার বারান্দায় এক মুরব্বি গোছের লোক এসে দাড়ালেন। হাতে মেসওয়াক। সেন্ডো গেঞ্জি গায়ে। লুঙ্গি পরা। আমাকে সিগেরেট টানতে দেখে মনে হলো মাইন্ড করছেন। ভদ্রলোক বেশ গোলগাল দেখতে। ওনার পেটে যতটুকু মাংস ওনার মুখেও সেই অনুপাতেই মাংস। দারুন ব্যাপার। ওনার গায়ে মাংসের একটা সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব ঘটে গেছে। উনি নিজেও জানেননা উনি একটি জীবন্ত বিপ্লবের প্রতীক। উনি আমার দিকে তাকিয়ে হালকা রাজশাহির টানে বললো-
- শিগেরেট টানছেন? এটা রোজার মাশ জানেন না?
- আমি প্রথমে একটু অবাক হলাম। এই বয়সের মানুষ কেন যে মনের কথা চেপে রাখতে পারেনা কে জানে!
আমি একটু মুচকি হেসে উত্তর দিলাম - রোজা রেখে মেসওয়াক করা যায় কি?
- উনি বিরবির করে কি যেনো বললেন। হয়তো গালাগাল। এর পর ভিতরে চলে গেলেন।
আমি বসে বসে ভাবছি। এত সুন্দর একটি সকালের পরিবেশটাকেতো আর নষ্ট করা যায় না। এক কাজ করি রবীন্দ্র সংগীত বাজাই।
আমার দরজায় ঠকঠক আওয়াজ। দরজা খুলে দেখি মা।
- কিরে এত সকালে গান বাজাচ্ছিস কেন? মানুষের ঘুম নাই? লোকজন সেহরী খেয়ে ঘুমায়। সাউন্ড কমা।
- আমি বললাম মা, দেখো কী অসাধারণ একটা সকাল। আর জাগো মোহন মঙ্গললোকে... শুনতে কি চমৎকার লাগছে। এমন কর কেন? আমি তোমার একমাত্র ছেলে।
- মা বলল হইছে। নাস্তা খাবি?
- আমি বললাম না। বাইরে খেয়ে নেবো।
- মা বলল একটা ডিম হাফ বয়েল্ড করে দেই আর এক গ্লাস দুধ?
- আমি বললাম দাও। দেশি মুরগির ডিম দিও।
ঘরে এখন বাজছে -
শরীর জুড়ে ক্লান্তি আলস্য। শরীর ঝিমঝিম করছে। মুখ থেকে আপনিতেই একটা বিরক্তির শব্দ হলো। শব্দটা মুখে করে শোনানো যায়। বানান করা যায় না। মাথার কাছ থেকে মোবাইল ফোন টেনে নিয়ে সময় দেখলাম- পাঁচটা বাজে। এত ভোরে কেন ঘুম ভেঙেছে ভাবতেই প্রচন্ড জোড়ে বাজ পরলো। কেঁপে উঠলাম। বুঝলাম এর আগেরটাই ঘুমটা ভাঙিয়েছে। ঘরের মধ্যে আশ্চর্য কোমল আলো। এই আলোয় উত্তাপ নেই আদর আছে। জানালার কাচে বৃষ্টির অজস্র ফোটা গলে গলে নামছে। কান্না ভরা চোখে বাইরেটা দেখতে যেমন ঝাপসা ঝাপসা লাগে জানলা দিয়ে ঠিক তেমনি দেখাচ্ছে বাহিরটা এখন। আমি সিগেরেট জ্বালালাম। বেশ হালকা একটা টান দিলাম। দিনের প্রথম সিগেরেটের প্রথম টানটা হালকা দিতে হয়। শিশুর কপালে চুমু খাওয়ার মতো। আর দিনের শেষ সিগেরেটে দিতে হয় খোরের মতো টান। গাজায় দম দেয়া টান। বারান্দায় এসে দেখি চেয়ারটা ভিজে আছে বৃষ্টিতে। সেই ভেজা চেয়ারেই বসলাম। পা তুলে দিলাম রেলিংএ। বেশ একটা আয়েশি ভঙ্গি। আমার ঘরটা ছ'তলায় তাই বারান্দায় বসলে চারপাশটা বেশ একটু চোখে পরে। স্প্রের মতো বৃষ্টি হচ্ছে। মিহি বৃষ্টি। এটাকেই কি ড্রিজলিং বলে? সকালের পরিবেশটা অসম্ভব সতেজ। ঘরের বউ যেমন ভোর বেলায় উঠে স্নান সেরে ভেজা চুলে একটা সতেজ নির্মল রুপে নিজেকে প্রকাশ করে। আজকের সকালের পরিবেশটাও তেমনি। ভেজা, সতেজ, সজীব, নির্মল।
আমার ভেতরটাও যেনো একটু গাঢ় হয়ে উঠলো।
আমার পাশের বিল্ডিংটার বারান্দায় এক মুরব্বি গোছের লোক এসে দাড়ালেন। হাতে মেসওয়াক। সেন্ডো গেঞ্জি গায়ে। লুঙ্গি পরা। আমাকে সিগেরেট টানতে দেখে মনে হলো মাইন্ড করছেন। ভদ্রলোক বেশ গোলগাল দেখতে। ওনার পেটে যতটুকু মাংস ওনার মুখেও সেই অনুপাতেই মাংস। দারুন ব্যাপার। ওনার গায়ে মাংসের একটা সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব ঘটে গেছে। উনি নিজেও জানেননা উনি একটি জীবন্ত বিপ্লবের প্রতীক। উনি আমার দিকে তাকিয়ে হালকা রাজশাহির টানে বললো-
- শিগেরেট টানছেন? এটা রোজার মাশ জানেন না?
- আমি প্রথমে একটু অবাক হলাম। এই বয়সের মানুষ কেন যে মনের কথা চেপে রাখতে পারেনা কে জানে!
আমি একটু মুচকি হেসে উত্তর দিলাম - রোজা রেখে মেসওয়াক করা যায় কি?
- উনি বিরবির করে কি যেনো বললেন। হয়তো গালাগাল। এর পর ভিতরে চলে গেলেন।
আমি বসে বসে ভাবছি। এত সুন্দর একটি সকালের পরিবেশটাকেতো আর নষ্ট করা যায় না। এক কাজ করি রবীন্দ্র সংগীত বাজাই।
আমার দরজায় ঠকঠক আওয়াজ। দরজা খুলে দেখি মা।
- কিরে এত সকালে গান বাজাচ্ছিস কেন? মানুষের ঘুম নাই? লোকজন সেহরী খেয়ে ঘুমায়। সাউন্ড কমা।
- আমি বললাম মা, দেখো কী অসাধারণ একটা সকাল। আর জাগো মোহন মঙ্গললোকে... শুনতে কি চমৎকার লাগছে। এমন কর কেন? আমি তোমার একমাত্র ছেলে।
- মা বলল হইছে। নাস্তা খাবি?
- আমি বললাম না। বাইরে খেয়ে নেবো।
- মা বলল একটা ডিম হাফ বয়েল্ড করে দেই আর এক গ্লাস দুধ?
- আমি বললাম দাও। দেশি মুরগির ডিম দিও।
ঘরে এখন বাজছে -
একতারাটির একটি তারে
গানের বেদন বইতে নারে
তোমার সাথে বারেবারে
হার মেনেছি এই খেলাতে...
আমি আর একটি সিগেরেট ধরিয়েছি। বাইরে রিমঝিম আষাঢ়ের ধারা জল।
আমার দিন শুরু হয়...
- অনি।
০৯/০৭/১৫
রাত- ১১:৩৭
গানের বেদন বইতে নারে
তোমার সাথে বারেবারে
হার মেনেছি এই খেলাতে...
আমি আর একটি সিগেরেট ধরিয়েছি। বাইরে রিমঝিম আষাঢ়ের ধারা জল।
আমার দিন শুরু হয়...
- অনি।
০৯/০৭/১৫
রাত- ১১:৩৭
No comments:
Post a Comment