Sunday, 6 September 2015

আমার গ্রামের বাড়ির
পানা ডোবার পুকুর জলে,
গুগলি শামুক মাটির চাড়ায়
পা কেটেছে কাদার তলে।

থুয়ে এসেছি কসকো সাবান
হাতের ঘড়ি তোমার স্মৃতি,
ঝিনুক জোঁক আর-
সাপের সাথে সে সম্প্রীতি।

চাকা মেরে গাছের থেকে
আম ফালানো ভীষন সোজা,
জলের থেকে আম উঠিয়ে
কাটবো কিসে ঝিনুক খোঁজা।

এত টক আম আর খাবো না;
খাওয়াস কেনো পল্টিমারা।
ভর দুপুরে ঝিঝির ডাক আর-
ঘুঘুর ডাকে ঘুমায় পাড়া।

কত্তবড় কচুরী ফুল ঐ ডোবাতে-
চালতা গাছের অন্ধকারে;
গা ছমছমে গুইসাপগুলো
কুমিরের মতো চুপটি করে ঘাপটি মারে।

ঝিঝির খোলস দুই পকেটে,
হাতের ভিতর কঞ্চি বাঁশের;
লাউয়ের ডগায় সুতা সাপ আর-
আকাশটাতে রং ধরেছে তালের শাঁসের।

তুমি আমার পিছন পিছন
পেত্নি বসা মাদার গাছের নিচে এসে,
গোখরা সাপের খোলস দেখা
পুরান বাড়ির দেয়াল ঘেসে।

কাঁঠাল গাছের মুছি নিয়ে
ডেফল খোঁজা ছাড়া বাড়ির পুরান ভিটায়,
মাটির ঘরের দেয়াল জুড়ে-
রতন কাকার আম্মা গরুর গোবর ছিটায়।

রাজহাঁসগুলো একেকটা প্রায়-
তোমার সমান অনেক বড়,
তখন আমি থ্রিতে বোধহয়
তুমি তখন প্রাইমারিতে টুতে পড়ো।

তোমার বাড়ি আমার বাড়ি
মদ্দিখানে কচুপাতার সবুজ বেড়া,
একটি বেলা দেরি হলে-
শৈশবের ঐ সে সংসারের অবুঝ জেরা।

আজকে তুমি কোথায় থাকো?
গ্রামে নাকি ঢাকায় নাকি অন্যদেশে?
জোলাভাতির খাবার খাওয়াও-
মুখে তুলে কোন ছেলেকে ভালবেসে?

সেকি জানে-
পুতুল বিদায় খেলায় তোমার কে সে আমি?
তুমি আমার প্রথম বিয়ে;
আমি ছিলাম তোমার কাছে প্রথম স্বামী?

-অনি
২৯/০৬/১৫
রাত- ১:০৪

No comments:

Post a Comment